সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারে, এস্ট্রোনমির জগতে বিচরণ হোক চুটিয়ে!

এস্ট্রোনমি বা জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে অনেকেই আগ্রহী। বই পড়ে কিংবা ইন্টারনেট আপনার আকাঙ্খা বাড়িয়ে দেয় হয়তো, কিন্তু ঠিক পুরোপুরি তৃপ্তি অনেকেই পান না।
জোতির্বিদ্যা নিয়ে আমার জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত। তবে এটি আমার পছন্দের বিষয়ের একটি...

আসলে মহাকাশ নিয়ে ভাবতে গেলে প্রথমেই যেটা মনে হয়, ইশ, আমার যদি একটা টেলিস্কোপ থাকত!  একটা টেলিস্কোপ আপনি চাইলে কিনতেই পারেন, তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হবে। অনলাইনে অর্ডার দিয়ে টেলিস্কোপ আনিয়ে নিতে গেলে শিপিং চার্জ ছাড়া খরচ হবে ৩৫ হাজার কিংবা তারও বেশী। বাংলাদেশেই তৈরী টেলিস্কোপও পাওয়া যায়। ঢাকায় স্টেডিয়ামের আশে পাশের দোকানে নাকি ৮-১০ হাজার টাকায় কাঠের ফ্রেমে টেলিস্কোপ পাওয়া যায়। এগুলো ঠিক কিরকম কাজ করবে সে ব্যাপারে কোন ধারণা দিতে পারছি না। যতদূর জানি, অন্তত শনি গ্রহের বলয় আপনি বেশ স্পষ্টই দেখতে পারবেন।

তবে যারা আপাতত টাকা-পয়সা খরচে দ্বিধায় আছেন, তাদের জন্যই আমার এই পোস্ট!

কথা না বাড়িয়ে কাজের কথায় আসি।

প্রথমেই যে এপ্লিকেশনটির কথা বলব, সেটি এন্ড্রয়েডের জন্য। Google Sky Map, বলে নেয়া ভাল এটির আর কোন আপডেট গুগল এখন দেয় না। তবে আপনার ফোনের এক্সেলেরোমিটার, কম্পাস আর জিপিএস যদি সঠিক ভাবে কাজ করে, এপ্লিকেশনটি আপনাকে মহাকাশ নিয়ে অন্যভাবে ভাবাবে নিশ্চয়ই!
এই সফটওয়ারটি দিয়ে আপনি আকাশে কোন দিকে কোন গ্রহ উপগ্রহ, ধূমকেতু, তারা কিংবা গ্যালাক্সী আছে তা নিঁখুতভাবে দেখতে পারবেন। মোবাইল ফোনটিকে আকাশের দিকে তাক করলেই আপনাকে দেখাবে কোন দিকে কোন জ্যোতিষ্কটি রয়েছে। তবে অবশ্যই আপনার ফোনে-কম্পাস, এক্সেলেরোমিটার এবং জিপিএস থাকতে হবে। (ডাউনলোড লিংক নিচে দেয়া আছে)

আর আপনি যদি পিসি বা ল্যাপটপে পুরো মহাকাশই ঘুরে দেখতে চান তো মাইক্রোসফট এর World Wide Telescope আপনার জন্য!  এর জন্য অবশ্য আপনাকে অন্তত উইন্ডোজ ভিস্তা বা সর্বশেষ উইন্ডোজ সংস্করণ ব্যবহারকারী হতে হবে, দরকার হবে ইন্টারনেট সংযোগও। সফটওয়্যারটির বিশেষত্ব এই যে, এর মাধ্যমে আপনি আমাদের পুরো সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহ একেবারে ত্রিমাত্রিক ছবিতে সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। চাইলে বেড়িয়ে আসতে পারবেন ইন্টারস্টেলার স্পেস কিংবা আরও যতদূরে আপনার ইচ্ছা :)  বিস্তারিত জানতে পারবেন এই ঠিকানায় www.worldwidetelescope.org

#DOWNLOAD LINKS:

- Google Sky Maps
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.google.android.stardroid

-Microsoft Worldwide Telescope (32bit_lite)
http://cdn.worldwidetelescope.org/beta/­wwtsetup.legacy.3.1.52.msi


HAPPY EXPLORING!!! :)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নস্টালজিয়া

৯০ এর দশকে যাদের জন্ম, তাদের শৈশব কেমন ছিল এসব ভেবে নস্টালজিক হওয়ার এক রকম চেষ্টা আমাদের মাঝে খুব হয় আজকাল।  আমি তাই মাঝে মাঝে ভেবে অবাক হই যে আমার তো এত সুন্দর শৈশব পাওয়ার কথা ছিল না। আমি মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের বাসায় ডিশের লাইন ছিল না। আমিও তেমন কিছু জানতাম না, আব্বু আম্মুও ভারতের কয়টা চ্যানেল এই দেশে চলে জানতো না। ভর্তি পরীক্ষার আগে ঢাকাও আমার বেড়ানো হয়েছিল মোটে ২ দিন মাত্র। কিন্তু ক্লাস থ্রি-তে থাকতেই আম্মুর হাত ধরে হ্যারি পটারের বইগুলো পড়া শুরু করেছি। জুরাসিক যুগে যেসব ডাইনোসর পাওয়া যেত, তার কোনটা টি-রেক্স আর কোনটা স্টেগোসরাস আমি ছবি দেখলেই বলে দিতে পারতাম যখন কিনা ক্লাস ফোর ফাইভে পড়ি। আমি না হয় এখন জানি হ্যারি পটারের বইয়ের পাতায় পাতায় কি উত্তেজনা লুকিয়ে ছিল সেই বয়সে, কিন্তু আমার আম্মু তো জানেই না এই বইগুলোর কত কিছু উপভোগ করা হয়নি তাঁর। আর আব্বুর পুরোনো বই ঘেটে ঘেটে স্পুটনিক ১ এর উৎক্ষেপনের গল্প পড়েছি। ভয়েজার ১ বেশিদূর পাড়ি দিয়েছে নাকি ভয়েজার ২ বেশি সেই গল্প জেনেছি। জোয়ান অফ আর্ক এর গল্প পড়েছি। সোভিয়েত ইউনিয়ন নামে একটা দেশ ছিল, অদ্ভুত সেই দেশের নাম জেনে অবাক হয়েছ

গ্যাস জায়ান্ট বৃহস্পতি কিংবা শনিগ্রহে কি পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ানো সম্ভব?

প্রথমেই, উত্তরটি হবে না। মহাকাশে যাওয়ার প্রথম শর্ত হল স্পেস স্যুট ব্যবহার করা, যাতে করে গ্রাভিটি আর বায়ুচাপের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া যায়। অক্সিজেন সাপ্লাই আর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেরও ব্যাপার আছে। কিন্তু গ্রহটি যদি হয় "গ্যাস জায়ান্ট", তবে ভাবতে হবে অন্যভাবে! আমরা জানি সৌরজগতে বর্তমানে স্বীকৃত গ্রহের সংখ্যা ৮টি (প্লুটোকে সম্ভবত আবার গ্রহের বিবেচনায় আনা হয়েছে), সে যাই হোক, সৌর জগতের গ্রহগুলো দুই ধরণের, একদল হল "রক-সলিড" বা পাথুরে গ্রহ, যেমন বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, আর আরেক দল হল "গ্যাস-জায়ান্ট" বা গ্যাসীয় গ্রহ। পাথুরে গ্রহের মত গ্যাস জায়ান্টে কোন সার্ফেস বা মাটি নেই। আমরা পৃথিবী বা মঙ্গলে দাঁড়াতে পারি, কিন্তু বৃহস্পতি কিংবা শনিতে তা সম্ভব না। সূর্য থেকে দূরত্ব অনেক বেশী হওয়ায় গোল্ডিলোক্স সীমার পরের এই গ্রহগুলোয় তাপমাত্রা অত্যন্ত কম। খুবই ঠান্ডা এই গ্রহগুলোর মূল উপাদানই হল হিলিয়াম, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন। তাপমাত্রা কম হওয়ায় গ্যাস গুলো খুব ঘন অবস্থায় থাকে, এরকম, যেন ঠিক তরলও না, পুরোপুরি বায়বীয়ও না। তাই বৃহস্পতিতে যদি আপনি কখনো মহাকাশযানে পাড়ি দিয়ে ভ্রমনের ইচ্ছ